করোনা ভাইরাস,বাংলাদেশ ও শিশুদের নিয়ে সাবধানে জীবন যাপন

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের ওপরে করোনা ভাইরাসে দ্বারা যে মহামারি চলেছে তা সত্যিই মনকে অস্থির করে তোলে।

Coronavirus Clean Hand Save People - Free image on Pixabay
Clean yourself 

তবে এই সময়ে ভয় পাওয়া বা হতাশ হবার মত কিছু না করে নিজের সৎসাহসটাকে কাজে লাগিয়ে পরিবার ও সজনদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

বিশ্বের উপর যে মহামারি হচ্ছে তা সংখ্যায় গননা করতে গেলে আতকে উঠতে হয়। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কিছু দিন আগেও বাংলাদেশ ছিল না কিন্তু বিশ্বের সমস্ত প্রভাবশালী দেশেই এই ভাইরাস মানুষের জনজীবনকে নাজেহাল করে তুলেছে। সমস্ত শক্তিশালী দেশগুলো আত্মসমর্পণ করছে এই কভিড-১৯ এর কাছে।

এবারে বাংলাদেশের পালা, ক্রমে ক্রমে বাড়ছে সংখ্যা, হতাশ হচ্ছে বাঙ্গালী জাতি ও জনজীবন। যখন বেশ দূরে ছিল এই আশঙ্কার টানাপোরান, তখন আমাদের একটু সচেতনতার ঘাটতি ছিল, তাই না ছিলাম আমরা সচেতন, না ছিল সরকারের কঠর নজরদারি। বিদেশীদের সম্পর্কে সরকারের কঠর নজরদারি জনগনকে আরও সচেতন করত বলে আমি মনে করি। আবার আমরা যে সব্য জাতি ও সাধুতা আমাদের ভেতরে বিরাজ করে তা খুবই ভয়ংকর। আমাদের সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। যাই হোক সবারই কিছু কিছু ভুলের কারনে আজ আমাদের খেশারত দিতেই হবে। তাই শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হলে নিজে এবং পরিবারকে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প কিছু নাই।

কভিট-১৯ নিয়ে সমস্ত চ্যানেল ও পত্রিকা সব সময় এর লক্ষন, করণীয় ও সব কিছু নিয়েই তারা লিখছেন ও দেখাচ্ছেন। তাই আবার সেগুলো লিখে পাঠকদের বিরক্তির কারন হতে চাই না। যদি কেউ জানার বোধ করেন তাহলে অনলাইনে একটু কষ্ট করে সন্ধান করলেই পেয়ে যাবেন।

-শিশুদের নিয়ে সাবধানে জীবন যাপন-
এই প্রতিকূলতার মূহুর্তে শিশুরা বড়ই অবুঝ, তাই তারা চাইবেনা কিছু মানতে, চাইবেনা কোথাও থামতে। এটাই স্বাভাবিক। ভাবুনতো শিশুর জায়গা থেকে আপনি হলেও তাই করতেন কিনা? ঠিক তাই করতেন। যাইহোক শিশুদের এই পরিস্থিতিতে সামাল দিতে হলে আমাদের অতিরিক্ত কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমানে সময় দিতে হবে। যাতে করে তারা বাইরে যাবার প্রয়োজনটুকু ভুলে যায়। পরিবার নিয়ে বাসাতেই হাশি খুশি থাকতে চেষ্টা করুন এবং তাদেরকে সুরক্ষিত রাখুন।
বাজার করা বা খুবই পয়োজনীয় কাজে যদি আপনি বাইরে যান সেক্ষেত্রে নিজে সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং ফিরে আসার পর আপনার শিশু আপনার কাছে ছুটে আসতে চেষ্টা করবে , এটা যেন কোন ভাবেই না ঘটে সেদিকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। তারপর আপনার সাথে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র পয়োজন মুক্ত করতে আর্মিদের বানানো পয়োজন মুক্ত করার ফর্মুলা ব্যবহার করুন অথবা নিজে গোসল করা সহ সমস্ত পোশাক আশাক সাবানপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শিশুদে সাথে নানা রকম কর্মে লিপ্ত হন।যেমন- তাদের সাথে খেলা-ধুলা, গান করা, ছবি আঁকা, আবৃত্তি করা, গল্প বলা, গল্পের বই পড়া, রিসাইকেল ক্রাফটস করা সহ ইত্যাদি রকমের সব কালচারাল কর্মে লিপ্ত হন, যা আপনার শিশু ও পরিবারকে এই দু:সময়ে সৎসাহস যোগাতে সাহায্য করবে।
পারলে অনলাইনে এইধরনের কোন একাডেমিতে ক্লাস করার ব্যবস্থা করে দিন, যাতে বন্ধুদের সাথে দেখা করার প্রয়োজন বোধ না করে। এরকম ক্লাস তারা ইন্জয় করবে, আমার বিশ্বাস।

এইসব সেক্টর গুলোই সুধুমাত্র অশান্ত মনকে শান্ত করতে পারে।

সর্বশেষ সবাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থেকে জীবনটাকেই উপোভোগ করতে চেষ্টা করবেন। আর আমার কথাগুলো কতটা কাজে আসবে তা কর্মের মাধ্যমে যাচাই করবেন।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবান্তে,
অজয় সান্ন্যাল

Comments